চাঁদাবাজি-হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত অবৈধ আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেল, ক্যাবল টিভি’র বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সরকারকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো।
এর আগে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে ও টেলিভিশন গণমাধ্যমকর্মীদের শীর্ষ সংস্থা ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি সরকারকে অভিনন্দন জানায়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীকে লেখা পত্রে এটকো সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী জানান, অবৈধ আইপি টিভি, ইউটিউব চ্যানেলগুলোর কোনো নিবন্ধন নাই। দীর্ঘদিন ধরে এই সকল চ্যানেল জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ও অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা লংঘন করে মানহীন তথ্য ও কন্টেন্ট সম্প্রচার করে আসছিল যা দেশে এবং বিদেশে অবস্থানরত সকল শ্রেণির দর্শককে বিভ্রান্ত করছে ও দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে তুলছে।
অতএব অবৈধ আইপি টিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার জন্য মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, বলেন অঞ্জন চৌধুরী।
এর আগে এ দিন বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন লিখিত এবং বিজেসি সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা ও সদস্য সচিব শাকিল আহমেদ পৃথক মৌখিক বিবৃতিতে জানান, ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি জনহয়রানিতে লিপ্ত থাকা নানারকম ‘টিভি’ নামের অবৈধ আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেল, ক্যাবল টিভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা তাদের দাবি ছিল।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতার সুষ্ঠু বিকাশের স্বার্থে অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালায় আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলে সংবাদ প্রচার করা যাবে না -এটি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও প্রচলিত আইন ও নীতিমালার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ব্যক্তিগত হীন স্বার্থ চরিতার্থে কিছু আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেল সাংবাদিকতার নামে মানুষের চরিত্র হনন, হুমকি প্রদানসহ নানা অপরাধমূলক তৎপরতায় লিপ্ত।
এদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও সকল জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে তারা বলেন, আমরা সারাদেশে এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাই।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন এ বিষয়ে এক পত্রে সকল জেলা প্রশাসককে দেওয়া তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করছে। কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৫ জুন চট্টগ্রামের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ এবং হিমাদ্রী খীসা বন্দরনগরীতে নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সি-প্লাস টিভি, সি-ভিশন, ২৪ টিভি ও এসবিটিভি নামের অনুমোদনহীন চারটি আইপিটিভির অফিস সিলগালা করে।