মানিকগঞ্জে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় গাড়ি চালক ও সাধারণ জনগণ এবং সদর সহ প্রায় দুইটি উপজেলার লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষদের। বলছি শহরের বাসস্ট্যান্ডের উত্তর দিকের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সড়কের প্রবেশ পথের কথা।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকালে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার এমন হালচাল দেখা যায়। শুধুমাত্র আজকের দিনই নয়,বর্ষাকালে প্রতিটি বৃষ্টিমুখর দিনেই সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তাটির এমন অবস্থা হয়ে থাকে।এছাড়াও রাস্তার দুই পাশে সিএনজি,হ্যালোবাইক, রিকশাচালকরা যাত্রীদের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বিধায় প্রায় সময়ই ছোট-বড় যানবাহনের জন্য লেগে থাকে বিশাল জ্যাম। এই পথ ধরে একটি রিকশায় উত্তর দিকে ৬-৭ মিনিট গেলে দেখা মিলবে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিনই এই হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে যাতায়াতের জন্য প্রধান রাস্তা এটি।ফলে তুলনামূলক আগের থেকে বর্তমানে এই সড়কটি আরও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ২০২০ সালের ২২ আগস্ট রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এমপি। রাস্তাটির উন্নয়ন অনেক ভালো হয়েছে তবে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির দিনে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতা মেহেদি হাসান বলেন,রাস্তাটি অনেক ব্যস্তপূর্ণ।তবে বৃষ্টি হলেই পড়তে হয় ভোগান্তিতে।সামান্য বৃষ্টির পানিতেই পানি জমে থাকে রাস্তায়।এতে রাস্তায় চলাচল করতে প্রচন্ড ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
গাড়ির পার্টস বিক্রেতা জুবায়ের রহমান বলেন, পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই বলেই রাস্তার দু-পাশে কাদা ও পানি জমে থাকে।রাস্তায় যদি ড্রেনের ব্যবস্থা করা থাকতো তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতাম।
পথচারী দিপক সূত্রধর বলেন,বৃষ্টির দিনে এই রাস্তায় হাইটা গেলে পায়ে কাদা তো লাগেই সাথে পড়নের প্যান্ট ও কাদা-পানিতে নষ্ট হয়ে যায়।তার ওপর গাড়ির জ্যাম তো আছেই। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এই সমস্যার সমাধান পেতে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের মাধ্যমে কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন,রাস্তার দুই পাশে দোকান থাকার কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ করা সম্ভব হয়নি।তবে এটি যেহেতু জনদুর্ভোগের কারণ হয়েছে তাই সামনে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।