“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার, চাঁদাবাজ, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, খুনী, ছিনতাইকারী, অপহরণ ও প্রতারকদের গ্রেফতারসহ দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সবধরনের অপরাধীকে আটক করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে র্যাব বিভিন্ন এলাকায় আইন শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে। র্যাবের এই অভিযান ও কার্যক্রম দেশের সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছে বলে জানায় র্যাব ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক এডিশনাল ডিআইজি মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন (পিপিএম) গণমাধ্যমকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম, প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যে কোন সময় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশংকা দেখা দিয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন থানায় একাধিক জিডি ও মামলা রুজু হয়েছে। চলমান নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ রাজধানীর ব্যস্ততম বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে।
এরই পরিপেক্ষিতে র্যাব-১০ দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অপরাধ রোধকল্পে ঢাকার প্রবেশমুখে, যাত্রাবাড়ী, ডেমরার সুলতানা কামাল ব্রিজ, মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর এবং ফরিদপুরের ভাঙ্গাসহ র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাবের বিশেষ চেকপোস্ট এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে বিশেষ রোবাস্ট পেট্রোলের মাধ্যমে পর্যাপ্ত টহল পরিচালনা করছে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা ডিউটিতে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোষ্ট ডিউটির মাধ্যমে ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ এর আওতায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, যানবাহন আটক করাসহ জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই বিশেষ টহল কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সর্বোপরি সাধারন মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ রোধকল্পে র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ন এলাকায় টহল দল ও গোয়েন্দা সদস্যরা সদা-সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে।