রাজধানীর খিলগাঁও, গোড়ান “আলী আহমদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ” এর অধ্যক্ষ নাসিমা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মাসাত ও নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তথ্য মতে, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ ছিল।সেই অনিয়ম ও দুর্নীতির রেকর্ড গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে অভিযোগ আকারে আসার পর তিনি গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিষ্ঠানের সাবেক একজন সহকারী প্রধান শিক্ষক ও বর্তমান গভর্নিং বডির ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধি সহ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
এরই সূত্র ধরে অধ্যক্ষ নাসিমা পারভীন ও সভাপতির মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দেয়। পাশাপাশি অধ্যক্ষের যোগদানের পর থেকে ৩০জুন ২০২২ পর্যন্ত বিশেষ অডিট করানো হয়।বিশেষ অডিট প্রতিবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
অধ্যক্ষ নাছিমা পারভীন গভর্নিং বডির কোন রেজুলেশন ছাড়া প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ও তার বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ জালিয়াতির সকল অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছে গভর্নিং বডি।
বরখাস্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক, শফিকুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ নাসিমা পারভীন দীর্ঘদিন যাবতই এই ধরনের অনিয়ম করে আসছিলেন।বারবার তাকে সতর্ক করা হলেও তিনি সাবধান হননি। ওনাকে অনেক আগেই বরখাস্ত করা দরকার ছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সিনিয়র শিক্ষক বলেন অধ্যক্ষ এই প্রতিষ্ঠানটির লেখাপড়ার মান তলানিতে নামিয়ে এনেছেন। ওনি একেক জনকে একেক রকম সুবিধা দিয়ে নিজের কাছে টেনে নিতেন। ওনার বিরুদ্ধে কোন কথা বললেই চাকরি থাকবে না বলে হুমকি দিতেন।ওনাকে বরখাস্ত করায় আমরা সবাই খুশি।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য অধ্যক্ষ আসিমা পারভীনের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নিং বডির সভাপতি বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আনিত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত কমিটি ও অডিট কমিটির প্রতিবেদনে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত গভর্নিং বডির ১১ তম সভায় উপস্থিত সদস্যগনের সর্ব সম্মতি ক্রমে তাকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অধ্যক্ষকে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য পত্র প্রদান করা হয়েছিল। ওনি টাকা ফেরত না দেওয়ায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।