৭ দফা দাবি সমূহ:
(১). দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে মুক্তিযোদ্ধা কোটা কমিয়ে দিয়ে হলেও ৯ম গ্রেড থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত সংরক্ষণ করণসহ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফেরত দিতে হবে ও রাজাকারের তালিকা করতে হবে।
(২) বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন পাশ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রেণী ও মর্যাদা নির্ধারণসহ স্বল্প সুদে ঋণ ও সম্মানীভাতা বৃদ্ধি করতে হবে ।
(৩) বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের চাকরির অবসরের বয়স- ৬১ বছর করতে হবে যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এখনো ৬১ বৎসর বলবৎ আছে । আইন মোতাবেক স্বয়ংক্রিয় ভাবে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রাপ্য অধিকার ।
(৪) মানব সেবা বৃদ্ধি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের 19 সন্তানদের জন্য জাতীয় সংসদে কমপক্ষে ৫০ (পঞ্চাশ) টি সংরক্ষিত আসনসহ প্রত্যেক সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, -ইউনিয়ন পরিষদে ০২ (দুই) জন করে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গভর্ণিং কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে ০২ (দুই) জন সদস্য বাধ্যতামূলক রাখতে হবে ।
(৫) বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হামলা, মামলা, নির্যাতন ও তাদের জমি দখলের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন ও সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি ।
(৬) বাজারে হঠাৎ মূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট, ঘুষ, দূর্নীতি-মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের বাজার তদারকি ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, বিদেশে টাকা পাচার বন্ধে কঠিন আইন করতে হবে।
(৭) বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী অথবা বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনীদের নামে ভাতা চালু করতে হবে । বংশপরাম্পর ভাতা চালু না করলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিলুপ্ত হতে পারে ।
দাবি আদায় না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। আন্দোলনের নেতৃত্ব দিবেন বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রতিবাদকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধকালীন কমান্ডার মরহুম লোকমান হোসেনের সন্তান মোঃ সোলায়মান মিয়া সংগঠনের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনায় মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবু সংগঠনের মহাসচিব।