প্রায় ২৩ বছর আগে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামি আব্দুর রহমান পাঠান মিজান নামের এক দোকানদারকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকান্ডের পর মৃত মিজান এর পরিবারের পক্ষ হতে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানায় আব্দুর রহমান পাঠান এর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যার মামলা নং- ১৩(৭)২০০০, ধারা- ৪৫৭/৩০২/৩৪ দন্ড বিধি। মামলা রুজুর পর আব্দুর রহমান বিদেশে পলায়ন করে। দীর্ঘ সময় বিদেশে অবস্থান করার পর আসামি আব্দুর রহমান দেশে ফেরত আসে। ইতোমধ্যে মহামান্য আদালত আব্দুর রহমান পাঠান’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করে এবং আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতারের পর থেকে রায় কার্যকর হবে বলে আদেশ প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় ঘোষনার বিষয়টি জানতে পেরে আসামি আব্দুর রহমান পাঠান আত্মগোপনে চলে যায়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় ঘোষনার পর হতে আসামির আত্মগোপনের বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আভিযানিক দল সোমবার বিকেলে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন মাতুয়াইল এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী এলাকায় চাঞ্চল্যকর দোকানদার মিজান’কে নৃশংসভাবে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ডে দন্ডিত দীর্ঘ ২৩ বছর যাবৎ পলাতক কুখ্যাত আসামি আব্দুর রহমান পাঠান (৪৫)‘কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদÐ রায় ঘোষনার পর হতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে আত্মগোপন করে ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।