সেদিন দেখলাম তোমায়
ঢাকার নিউমার্কেটে,
তুমি হয়তো আমায় দেখনি,
তাতে কি?
আমি তো তোমায় দেখেছি,
কতদিন পর তোমায় দেখলাম,
তাই না? প্রায় বছর পাঁচেক তো হবেই
অনেক বদলে গেছো তুমি
কি টানা টানা হরিণীর মত চোখ ছিল তোমার,
তোমাকে প্রথম দেখায় যে চোখ আমি দেখেছি
সেই চোখ আর এখনকার এই চোখ
কেন যেন মিলছে না।
বান্ধবীর সাথে হেসে কথা বলছিলে
সে আগের তোমার মধুমাখা হাসিতে
গালে যে টোল পরতো
সেদিনের দেখা হাসিতে
কেন যেন আমি তা খুঁজে পেলাম না,
কি অদ্ভুত,
বড্ড কালো হয়ে গেছে তোমার গায়ের রং,
অনেকটা শুকিয়েছো বটে,
আচ্ছা তোমার কি আগের মত
পান থেকে চুন খসলেই রেগে যাওয়ার
অভ্যাস টা এখনো আছে?
কিছু থেকে কিছু হলেই খুব অভিমান করতে,
বড় বেশি অভিমানী মেয়ে তুমি
আর আমি! আমি ব্যাস্ত থাকতাম
তোমার অভিমান ভাঙ্গাতে,
যাইহোক, সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে
এখনো কি হারমোনিয়াম নিয়ে বসা হয়?
বৃষ্টি শুরু হলে দৌড়ে চলে যাও বাড়ির ছাদে?
শাহবাগের সেই ফুলের দোকান টা এখনো আছে জানোতো
যেখান থেকে আমি ফুল কিনে দিতাম তোমায়,
ব্যস্ততার কারণে খুব একটা ওদিকে যাওয়া হয়না,
অনেক ব্যস্ত আমি,
মাঝে একদিন তোমার বন্ধু মিতার সাথে দেখা হয়েছিল,
দেখা হওয়ার পরই তোমার প্রসঙ্গ তুলে ধরল মিতা,
কেন যেন আমার শুনতে ইচ্ছে হচ্ছিল না,
তাই এ বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছিলাম।
কফি খাওযয়ার পর্ব শেষ করে বিদায় নিলাম দু’জন
ব্যস্ততার কারণে তোমাকে নিয়ে ভাববার সময় পাইনা,
আসলে এখন খুবএকটা তোমায় মনেও পড়ে না,
কিন্তু সেদিন মিতার সাথে দেখা হওয়ার পর তোমাকে অনেক বেশি মিস করেছি,
মনে পড়ছিল ধানমন্ডি লেক, পুরান ঢাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ তোমার সাথে জড়িয়ে থাকা সব স্মৃতিগুলো
ও হ্যাঁ ভালো কথা! তোমার হাতে হাত রাখা একটা ছোট্ট বেবি কে দেখলাম,,
তোমার বেবি বুঝি?
মাশাআল্লাহ চাঁদের মত হয়েছে দেখতে।
অনেক প্রশ্ন আমার তোমার কাছে,
এত এত প্রশ্নের মাঝে অনেক বড় একটি প্রশ্ন বরাবরই মনে জাগে,
ভালো থাকার জন্যই আজ তোমার আমার মাঝে এত দূরত্ব
সত্যিই তুমি, “ভালো আছো তো”?