গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের পানিতে ডুবে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রেবাবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশিকুজ্জামান ভূইয়াকে তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রক্টর ড. কামরুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে চিঠি প্রেরণ করেন রেজিস্ট্রার মো: দলিলুর রহমান। ওই চিঠিতে তিনি তদন্ত কমিটিকে যথা শিঘ্র তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: জাকির হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ড. মোহাম্মদ আলী খান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি মো: রাজিব হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার এস.এম এস্কেন্দার আলী, একাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফায়েকুজ্জামান মিয়া।
বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকে নিরাপত্তা না থাকায় ওই দুই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে শোকার্ত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন। তারা এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষার্থীদের সামনে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবেশেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৭ সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করলো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: দলিলুর রহমান বলেন, লেকের পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে, কোন গাফলতি ছিল কি না তা বের করে আনতে ৭ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে যথা শিঘ্র তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বৃষ্টিতে ভিজতে বের হন দুই শিক্ষার্থী। এসময় ভিজতে ভিজতে লেক পাড়ে গেলে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোবাশ্বেরা তানজুম হিয়া পা পিছলে লেকের পানিতে ডুবে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করতে একই বিভাগে সহপাঠী তাসপিয়া জাহান রিতু লোকের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করতে গলে দু’ জনেই এক সাথে পানিতে ডুবে মারা যায়।
এরআগে গত ৩ আগস্ট ওই দু’ শিক্ষার্থীর স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন ভিসি প্রফেসর ড. এ.কিউ.এম মাহবুব।