1. admin@newswatchbd.com : admin :
বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন

চট্টগ্রাম-৮ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আশেক রসুল খান বাবু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আশেক রসুল খান (বাবু)। তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর মোহরা ওয়ার্ডের সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।
আশেক রসুল খান (বাবু)’র মা জোবাইরা নার্গিস খান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিক। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র ও বর্তমান কাউন্সিলর, (চান্দগাঁও, মোহরা, পূর্বষোল শহর ওয়ার্ড)। জোবাইরা নার্গিস খান ১৯৯৪ সাল থেকে বারবার নির্বাচিত কাউন্সিলর ও টানা ২বার নির্বাচিত প্যানেল মেয়র। দীর্ঘ ২৮ বছর থেকে অদ্যাবধি কাউন্সিলর এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন এবং ৮বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।
বাবু’র পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সেকান্দার হায়াত খান ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বস্ত সহচর, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক, যুদ্ধকালীন কালুরঘাট সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক, সেক্টর-১ এ যুদ্ধ করেন, ৭৫ ও ৮৮ সালে নির্যাতিত, দুঃসময়ের চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সহ-সভাপতি।
১৯৭৫-এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে দুষ্কৃতীকারীদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পরও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের হাল ধরে রাখেন। ১৯৭৫ এর পরবর্তী ক্রান্তিকালে সেকান্দার হায়াত খান জীবন বাজি রেখে গ্রেফতারী পরোয়ানা তুচ্ছ করে তিনিই প্রথম চট্টগ্রাম মহানগরীর মোহরা এ.এল খান স্কুল মাঠে জোহরা তাজউদ্দিন (তৎকালীন আওয়ামী লীগ কনভেনার) কে সাথে নিয়ে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে পুনঃ জাগরিত করেন, সফল এ আয়োজন সেকান্দার হায়াত খানের সাহসী ভূমিকা তৎকালে যথেষ্ট প্রশংসা পায়। যা আজও স্মরণীয় হয়ে আছে।
১৯৭৬ সালে যুব সমাজকে নষ্ট করার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সারাদেশের মত চট্টগ্রামে আনন্দ মেলার আয়োজন করে, এই মেলা সেকান্দার হায়াত খানের যোগ্য নেতৃত্বে বানচাল হয়ে যায়। জিয়াউর রহমান সশরীরে এসে অনেক প্রলোভন দেখানো সত্তেও তিনি দল ত্যাগ করেননি। তখন তিনি জিয়াকে বলেছিলেন-“দল ত্যাগ করে অন্য দলের মন্ত্রী হওয়ার চেয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য হওয়া অনেক গৌরবের”। তিনি ঘৃনাভরে জিয়াউর রহমান সরকারের মন্ত্রীত্বের লোভ প্রত্যাখান করেছেন এবং এর জের হিসেবে ওই সময় তিনি সেকান্দার হায়াত খানকে মেরে ফেলার জন্য ফোর্স পাঠান, তখন তিনি তার বাড়ির পার্শ্ববর্তী খালে লাফ দিয়ে অন্য গ্রাম দিয়ে উঠে বেঁচে যান। তার এই ঘটনা এখনো চট্টগ্রামের মানুষের মুখে মুখে।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারী চট্টগ্রাম লালদিঘী মাঠে তখন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়। তখন তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন এবং নির্যাতনের শিকার হন। পুলিশ তাকে রাইফেলের বাট ও লাঠি দিয়ে প্রহার করে। তাকে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাকে বন্দী করা হয়। ওই সম তিনি অনেক নির্যাতন সহ্য করেছেন।
৮০’র দশকে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসেন এর পরবর্তীতে দলকে তৃনমূলে সুসংঘঠিত করার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে মরহুম সেকান্দার হায়াত খানের তত্ত্বাবধানে ও পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগকে তৃনমূলে সুসংঘঠিত করার জন্য শেখ হাসিনাসহ বিশাল বহর নিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, টেকনাফ সাংগঠনিক সফর করেন। ওই সময় মরহুম সেকান্দার হায়াত খানের উপর অর্পিত দায়িত্ব সুশৃংঙ্খলভাবে পালন করে সফল হওয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ বহরের সকল নেতৃবৃন্দ এর ভূয়সী প্রসংশা করেন। দুঃসময়ের এ সাংগঠনিক সাহসী কর্মকান্ড যা আজও অনেকের স্মৃতিতে বেঁচে আছে।
আশেক রাসুল খান বাবু’র পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার হায়াত খান ১৯৯৬ সালে সন্ত্রাসী দ্বারা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে প্রায় সময় তিনি অসুস্থ থাকতেন, ২০০৬ সাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর ঠিকানা ছিল শুধু হাসপাতাল আর বাড়ি। প্রায় দীর্ঘ ৭ বছর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে কনিষ্ঠ পুত্রের বিয়ের ৬ ঘণ্টা আগে ২০১৩ সালের ২৩ মার্চ তিনি ইন্তেকাল করেন।
আশেক রাসুল খান বাবু পারিবারিকভাবে আওয়ামী রাজনীতির বলয়ে বেড়ে উঠেছেন। তার দাদা মরহুম ছালেহ আহম্মদ খান পাচলাইশ থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মোহরা ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট এবং চট্টগ্রাম জুরি কাউন্সিল বোর্ডেও সদস্য ছিলেন। সভাপতি থাকাকালীন মোহরা এ. এল. খান হাই স্কুল মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর বিশাল সংবর্ধনা দিয়েছিলেন।
আশেক রাসুল খান ২০০১ থেকে ২০০৮ এর নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় কর্মকান্ড রাজপথে থেকে সভা সমাবেশ মিছিল ও নির্বাচনী পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে নিজের এলাকায় এবং ২০১৩ সালে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল, মিটিং এবং হরতাল বিরোধী পথসভায় অংশগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে কুখ্যাত সাইদীকে চট্টগ্রামের পবিত্র ভূমিতে নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নেতৃত্বে উৎখাত করে জামাত শিবির অনুষ্ঠান বানচালে ভূমিকা রাখেন।
তিনি ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ডাককে সম্মান, মর্যাদা ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তার ব্যক্তিগত ও নিজস্ব উদ্দোগে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগকে সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ভাস্কার্য, বিজয় স্তম্ভ ও যাদুঘর ফলক উম্মোচন করেন। জিয়াউর রহমানের মিথ্যা ইতিহাসকে কবর দেয়ার জন্য ২০১৭ সালে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তৎকালীন প্যানেল মেয়র জোবাইরা নার্গিস খানকে সাথে নিয়ে জিয়ার নামে যে পার্ক তথাকথিত জিয়া পার্ক নাম পরিবর্তন করে ‘স্বাধীনতা পার্ক’ নামকরণ করেন। পরে তিনিসহ বেশ কয়েকজনের নামে নগর বিএনপি মামলা দায়ের করে ও ক্ষমতায় আসলে দেশ ছাড়া করার হুমকী দেয়। পরে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত স্মারক ভাস্কর্যটি বিএনপি-জামাত চক্র ভাংচুর করলে তার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগঠকদের ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দদের সাথে নিয়ে তিনি মহাসচিব হিসেবে তা আয়োজন করেন এবং ভাংচুরকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
আশেক রাসুল খান বাবু’র স্ত্রীর ডা. রাশনা শারমীন আলী চৌধুরী চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার। তিনি চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সাবেক রেজিষ্টার। বাবু’র শ্বাশুড়ি চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে আশেক রাসুল খান বাবু বলেন, ‘আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দিলে আমি নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস সমাজে প্রতিষ্ঠা করা, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, বেকার যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে শক্তিতে পরিণত করা হবে আমার প্রথম কাজ। এছাড়া মজলুম, অসহায় মেহনতি ও দুস্থ’ মানুষের প্রতি সুনজর রাখা, রাজনীতির মাধ্যমে সমাজের প্রতিটি মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা পৌছিয়ে দেয়া এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই আমার হবে আমার রাজনৈতিক অন্যতম উদ্দেশ্য।

এই ক্যাটাগরির আরো সংবাদ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৩ নিউজ ওয়াচ বিডি
প্রযুক্তি সহায়তায় Shakil IT Park